ভোলা লালমোহন উপজেলায় সংঘবদ্ধ গরু চোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে লালমোহনের চর কচুয়াখালী এলাকায় মো. জাকির মাঝি ও তার দুই আত্মীয়ের গরুর খোয়ারে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতকারী। তারা গরুর ঘরের থাকা রাখালদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, হাত-পা বেঁধে ও আহত করে ১৬টি গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি যাওয়া গরুগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার পরপরই লালমোহন থানা পুলিশের একটি দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) জনাব মো. বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে এবং লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মো. সিরাজুল ইসলাম-এর সহযোগিতায় বরিশাল শহর এবং পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন মাঝেরচর এলাকায় অভিযান চালায়।
এ অভিযানে মূল অপরাধী চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. নুরু গাজী (৪৫), জুয়েল মৃধা (৩০), মাঈনুদ্দিন প্যাদা (৩০), আবুল হাশেম (৪০) এবং আবু তাহের (৪৭)— পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ৭ মার্চ সকাল ৮টায় বাউফলের মাঝেরচর এলাকায় সাহাবুদ্দিন মেম্বারের খোয়ার থেকে চুরি যাওয়া ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও নিজাম (৪২), মাজাহারুল হাওলাদার (৩৪), ইসমাত হোসেন (১৯), রেজাউল সরদার (৪৫), জাকির হাওলাদার (৫২) ও তোফাজ্জল ফরাজী (৫৫)—নামের ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ১১ জনই আন্তঃজেলা গরু চোর, ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর ৮ মার্চ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল। আমরা চোরাই গরু উদ্ধারের পাশাপাশি বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি।”